প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা করবেন। লন্ডনে চার দিনের সফরে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।'
জাতিসংঘে যে বিষয়গুলো তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী
'মোমেন বলেন, এ প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে প্রতিকূলতার মুখামুখি হতে হবে সে বিষয়টি এবং সংকট মোকাবিলায় একতরফা জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ কিংবা নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সংকট সমাধানে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান এবং বহুপাক্ষিকতাবাদকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গুরত্বারোপ করতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনার মতো ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে টিকা এবং প্রতিষেধকের ন্যায্য ও আরও ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের জন্য
'লন্ডন-নিউইয়র্ক হয়ে ওয়াশিংটনে শেষ হবে প্রধানমন্ত্রীর সফর'
আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উপায় খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাতে পারেন। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশের 'জিরোটলারেন্স' নীতি, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ অভিবাসন অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তার বক্তব্যে উঠে আসবে।'
দুটি সাইড ইভেন্টে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী
'রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশসহ মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে কি-না, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমরা এ ইস্যুটা তুলে ধরব। বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ ব্যাপারে আরও জোর দেওয়া উচিত। কারণ এটার সমাধান তো হচ্ছে না।মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সংঘাত প্রত্যাবাসনকে অনিশ্চয়তায় ফেলছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সেটা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। হয়ত এটা আমাদের প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে পারে আবার উল্টোটা হতে পারে। উই ডোন্ট নো, আমরা সবসময় আশাবাদী।'